Message from the Principal

সম্মানিত অভিভাবক ও স্নেহভাজন শিক্ষার্থীবৃন্দ, আস্-সালামু আলাইকুম।

আবহমান কাল থেকে মানুষ প্রকৃতি থেকে যে জ্ঞান আহরণ করে, তারই আরেক নাম শিক্ষা। শিক্ষা তার নিজস্ব গতিতে চলছে। যুগের পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে শিক্ষা হয়ে উঠেছে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূখর। প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক মূল্যবোধের গুরুত্বও অপরিসীম। এর প্রেক্ষিতেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আকিজ কলেজিয়েট স্কুল ।

ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সে পথে যাত্রা শুরু করে যে সুফল পেতে শুরু করেছে, তার নজির বিগত বছরগুলোর ফলাফল এবং যশোর শিক্ষা বোর্ডের সেরা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম স্থান অর্জন। ভালো ফলাফল লাভের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জ্ঞান, সকল শাখায় দক্ষতার সাথে বিচরণ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক তৎপরতা, অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতার জন্য আকিজ কলেজিয়েট স্কুলের সুনাম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। শুরু থেকেই শিক্ষার্থী, অভিভাবকমহল ও শিক্ষকদের যে সহযোগিতা পেয়েছে  ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করি।

শিক্ষাবান্ধব পরিবেশে এক হাজারেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রীর কলরবে মুখরিত, দক্ষিণবঙ্গের মফস্বলে অবস্থিত আকিজ কলেজিয়েট স্কুল। যথোপযুক্ত শিক্ষা প্রদানকে প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এখানে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে দক্ষ শিক্ষকমণ্ডলী দ্বারা ক্লাস পরিচালনা করা হয়। কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাফল্য নির্ভর করে ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক ও পরিচালনা পর্ষদ-এর চতুর্মুখী প্রচেষ্টার ফলে। আমাদের এ প্রচেষ্টা নিরন্তর ও সার্বক্ষণিক।

অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, প্রতি বছর এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অবিস্মরণীয় সাফল্য অর্জন করে আসছে। এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১৯৯১ সালে স্বল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক হাজারেরও বেশি। প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী বুয়েট, সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে। সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমের গুরুত্বকে এখানে মোটেও খাটো করে দেখা হয় না। একথার প্রমাণ পাওয়া যাবে বিগত বছরগুলোর শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানের ফলাফলে। শিক্ষার্থীদের পুঁথিগত বিদ্যায় আবদ্ধ না রেখে চৌকশ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার উদ্দেশ্য  ভিন্ন জাতীয় দিবসে উৎসবপালনসহ বিতর্ক, কুইজ, আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, উপস্থিত বক্তৃতা, ভাষণ, কোরআন তেলোয়াত, ইসলামী সংগীত, আজান, বিজ্ঞান মেলা, চিত্রাংকন ইত্যাদি প্রতিযোগিতামূলক  অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে।

সৃজনশীলতাই মানুষকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছে। আজকের এই সমাজ, সভ্যতা তারই প্রমাণ। বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকার সুশিক্ষিত ও দক্ষ জনশক্তি গড়ার প্রত্যয়ে নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে এবং শিক্ষা পদ্ধতিতে সৃজনশীলতা ও বিজ্ঞান-মনস্কতাকে গুরুত্ব দিয়েছে।

আকিজ কলেজিয়েট স্কুল দক্ষিণবঙ্গের জনপদে শিক্ষাবিস্তারের বিশেষ অবদান রাখতে অকাঙ্গীকারবদ্ধ। এরূপ আশাব্যঞ্জক সাফল্যের পেছনে শিক্ষকগণের আন্তরিক প্রচেষ্টা, ছাত্র-ছাত্রীদের নিরলস পরিশ্রম, অভিভাবক, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের অব্যাহত সহযোগিতা এবং ‘প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদ’-এর সম্মানিত সদস্যবৃন্দের নিবিড় পরিদর্শন ও তত্ত্বাবধান বিশেষ ভূমিকা রেখেছে বলে আমি মনে করি।

এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী দিনগুলোতেও এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছোতে পারবে বলে আমাদের বিশ্বাস। তাই সকল মহলের আন্তরিকতা ও সহযোগিতা আমরা একান্তভাবে কামনা করছি। আমরা শিক্ষা বিস্তারে অবিস্মরণীয় অবদান রাখতে চাই। আমরা সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করি।

অধ্যক্ষ মো: শামীম মল্লিক

Why Choose ACS ?

  • Capable and experienced faculty members
  • Spacious classrooms
  • Hi-tech simulation for practical understanding
  • Spacious & separate playgrounds for boys and girls
  • World-class library
  • Multi-media classroom for labs

ACS Facts

For the year ended December 31, 2023.

0
Faculty Members
0
Students
0
HSC Graduates
0
SSC Graduates
0
Employee

News