দেশ রক্ষার শপথ নিয়ে দিন শুরু ওদের
নাভারণ, যশোর থেকে: ‘আমি শপথ করিতেছি যে,… হে আল্লাহ, আমাকে শক্তি দিন। আমি যেন বাংলাদেশের সেবা করিতে পারি। এবং বাংলাদেশকে…
সম্মানিত অভিভাবক ও স্নেহভাজন শিক্ষার্থীবৃন্দ, আস্-সালামু আলাইকুম।
অবহমান কাল থেকে মানুষ প্রকৃতি থেকে যে জ্ঞান আহরণ করে, তারই আরেক নাম শিক্ষা। যুগের পরিবর্তনে শিক্ষা হয়ে উঠেছে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক মূল্যবোধের গুরুত্বও অপরিসীম। তাই সময়ের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ ও মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কিংবদন্তিতুল্য শিল্পপতি ও সমাজসেবক মরহুম সেখ আকিজ উদ্দীন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আকিজ কলেজিয়েট স্কুল।
ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সে পথে যাত্রা শুরু করে যে সুফল পেতে শুরু করেছে, তার নজির বিগত বছরগুলোর ফলাফল এবং যশোর শিক্ষা বোর্ডের সেরা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম স্থান অর্জন। ভালো ফলাফল লাভের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জ্ঞান, সকল শাখায় দক্ষতার সাথে বিচরণ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক তৎপরতা, অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতার জন্য আকিজ কলেজিয়েট স্কুলের সুনাম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। শুরু থেকেই শিক্ষার্থী, অভিভাবকমহল ও শিক্ষকদের যে সহযোগিতা পেয়েছে ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করি।
শিক্ষাবান্ধব পরিবেশে এক হাজারেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রীর কলরবে মুখরিত, দক্ষিণবঙ্গের মফস্বলে অবস্থিত আকিজ কলেজিয়েট স্কুল। যথোপযুক্ত শিক্ষা প্রদানকে প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এখানে একঝাঁক দক্ষ শিক্ষকমণ্ডলী দ্বারা ক্লাস পরিচালনা করা হয়। কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাফল্য নির্ভর করে ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক ও পরিচালনা পর্ষদ-এর চতুর্মুখী প্রচেষ্টার ফলে। আমাদের এ প্রচেষ্টা নিরন্তর ও সার্বক্ষণিক।
অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, প্রতি বছর এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অবিস্মরণীয় সাফল্য অর্জন করে আসছে। এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১৯৯১ সালে স্বল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক হাজারেরও বেশি। প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী বুয়েট, সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে। সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমকে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হয়। যার প্রমাণ পাওয়া যাবে বিগত বছরগুলোর শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানের ফলাফলে। শিক্ষার্থীদের পুঁথিগত বিদ্যায় আবদ্ধ না রেখে চৌকশ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার উদ্দেশ্য বিভিন্ন জাতীয় দিবসে উৎসবপালনসহ বিতর্ক, কুইজ, আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, উপস্থিত বক্তৃতা, কোরআন তেলোয়াত, সংগীত, আযান, বিজ্ঞানমেলা, চিত্রাংকন ইত্যাদি প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে।
আকিজ কলেজিয়েট স্কুল দক্ষিণবঙ্গের জনপদে শিক্ষাবিস্তারের বিশেষ অবদান রাখতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। এরূপ আশাব্যঞ্জক সাফল্যের পেছনে শিক্ষকগণের আন্তরিক প্রচেষ্টা, ছাত্র-ছাত্রীদের নিরলস পরিশ্রম, অভিভাবক, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের অব্যাহত সহযোগিতা এবং ‘প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদ’-এর সম্মানিত সদস্যবৃন্দের নিবিড় তত্ত্বাবধান বিশেষ ভূমিকা রাখছে বলে আমি মনে করি।
এ ধারা অব্যাহত থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি সাফল্যের উচ্চতর আসনে অধীষ্ঠিত হবে বলে আমাদের বিশ্বাস। শিক্ষা বিস্তারে এই প্রতিষ্ঠানের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। সবার দোয়া, আন্তরিকতা ও সহযোগিতায় আমরা সেই লক্ষ্যে নিরন্তর কাজ করে যেতে চাই।
For the year ended December 31, 2023.
নাভারণ, যশোর থেকে: ‘আমি শপথ করিতেছি যে,… হে আল্লাহ, আমাকে শক্তি দিন। আমি যেন বাংলাদেশের সেবা করিতে পারি। এবং বাংলাদেশকে…
Akij Collegiate School bagged 1st place in both school-college level in science project making, 1st place in college level in…
আকিজ কলেজিয়েট স্কুল থেকে ১৩ শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। Akij Collegiate School